ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ আজকের পত্রিকা ই-পেপার আর্কাইভ কনভার্টার ফটোগ্যালারি
×
শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম: আমাদেরজাগরণ ১১ দানবাক্স ভরে গেল ২ দিনেই, আসছে কোটি কোটি টাকা আমাদেরজাগরণ খালেদা জিয়া আমাকে ডেকে নিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন...বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী আমাদেরজাগরণ সমুদ্রে ভেসে গেছে নৌযান, ১৭ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার আমাদেরজাগরণ চট্টগ্রামে নবাগত ওসিদের উদ্দেশে পুলিশ সুপারের কড়া দিকনির্দেশনা আমাদেরজাগরণ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ আমাদেরজাগরণ ডেমরায় অটোরিকশার ধাক্কায় যুবক নিহত আমাদেরজাগরণ অনূর্ধ্ব -১৯ নারীদল পাকিস্হান নারী দল কে ৭ উইকেটে পরাজিত করলো, আমাদেরজাগরণ ক্যারিয়ারের ৪৮ তম শিরোপা জিতলেন লিওনেল মেসি আমাদেরজাগরণ বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক রুহুল আমিন বাবুল বিকেল মারা গেছেন আমাদেরজাগরণ দুর্নীতি-আইনশৃঙ্খলার লাগাম একমাত্র বিএনপিই টেনে ধরতে পারে...তারেক রহমান
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
রূপগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থী রেদুয়ান এর চোখ উপড়ে ফেলেও সন্ত্রাসী রিফাত গং থেমে নেই উল্টো মামলা তুলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন
প্রকাশ : বুধবার, ৫ নভেম্বর , ২০২৫, ১১:৫৪:০০ পিএম
শফিকুল ইসলাম আরজু:
Amader Jagaran_2025-11-06-690b92f79af44.jpg

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানাধীন মধুখালী পূর্বপাড়ার মোঃ আক্তার হোসেন এর পুত্র কাঞ্চন কলিমউদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রেদোয়ান (১৮) কে গত ২৪ অক্টোবর রাত্র ১১ ঘটিকার সময় মধুখালী এলাকার হোসেন আলীর পুত্র রিফাত(২৫) ও মঞ্জুর (২০), আব্দুল হক এর পুত্র বাদল(৪০), আকবর আলী'র পুত্র হোসেন আলী(৫০) এরা সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রেদোয়ানকে জোড় পূর্বক ধরিয়া মুখ বেধে পার্শ্ববর্তী এলাকার দেলোয়ার হোসেন দেলু'র পরিত্যক্ত ঘরের ভিতরে নিয়া আটক রাখিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া রক্তাক্ত জখম করে এবং ধারালো ছুরি দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে ডান চোখে আঘাত করে চোখ উপড়ে ফেলে।

গত ২৫ অক্টোবর রাতে আক্তার লোক মারফত এ খবর পেয়ে ছেলেকে পরিত্যক্ত বাড়ি হইতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে এবং রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।যাহার মামলা নং- ৮৫। তারিখ -২৫-১০-২০২৫।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে উক্ত মামলা হইতে ৩ জন আসামি আদালত হইতে জামিনে বের হয়ে মামলার প্রধান আসামি রিফাত পলাতক থাকিয়া এখন আবারো একত্রিত হয়ে আক্তারকে মামলা তুলিয়া নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।

ঘটনার বিবরণে মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমার বাড়ীর সম্পত্তি লইয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ রিফাত, বাদল, হোসেন আলী ও মুঞ্জুর সাথে বিরোধ শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। বিরোধের জের ধরিয়া উভয় পক্ষের মধ্যে এ যাবৎ একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান আছে। আমার ছেলে রাকিবুল হাসান রেদুয়ান (১৮), রূপগঞ্জ থানাধীন কাঞ্চন ছলিমউদ্দিন কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়ালেখা করিয়া আসিতেছে। গত ২৪/১০/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে বাড়ীর সামনে রাস্তায় গেলে পূর্ব শত্রুতার -জের ধরিয়া উল্লেখিত আসামীরা আমার ছেলে রাকিবুল হাসান রেদুয়ান (১৮) কে জোর পূর্বক ধরিয়া মুখ বাধিয়া পার্শ্ববর্তী একই গ্রামের পশ্চিমপাড়া জনৈক দেলোয়ার হোসেন দেলুর পরিত্যক্ত ঘরের ভিতরে নিয়া আটক রাখিয়া আমার ছেলেকে মুখ বাধিয়া সকল আসামীরা খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

আমি জানতে পারি রিফাত ধারালো ছুরি দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের ডান চোখ উঠাইয়া ফেলেছে। প্রতিবেশি সুজন ঘটনার বিষয় আমাকে জানাইলে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে ঘর হইতে বাহির হইয়া আমার আত্মীয় স্বজনদের এবং পাড়া প্রতিবেশি সুজন ও ছায়মুন, মোহাম্মদ আলী সহকারে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দেলুর পরিত্যক্ত ঘরে উপস্থিত হইয়া ২৫ অক্টোবর রাত অনুমান ০২ ঘটিকার সময় রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করিয়া রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন আমি আমার ছেলেকে আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া যাই। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার ছেলেকে জাতীয় চক্ষু ইনিষ্টিটিউট আগারগাঁও শেরে বাংলা নগর ঢাকায় রেফার্ড করেন।

আমার ছেলেকে ঢাকা আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আমার ছেলে বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাহার অবস্থায় আশংকা জনক। আমি ছেলের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ০৩ জন আসামি জামিনে বের হয়ে পলাতক আসামি রিফাতের সাথে যোগাযোগ করে বর্তমানে আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অপরাধীদের আঘাতে আমার ছেলে এখন মুমূর্ষু অবস্থায়। তাঁর চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেবার পরামর্শ দিয়েছে। যাহা প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। আমি এখন ছেলের এই অবস্থায় দিশেহারা ও মর্মাহত। এর মধ্যে আসামীদের হুমকি ধামকিতে আমি ও আমার ছেলে প্রাণের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আমি এ সকল অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে মহামান্য আদালতের নিকট ন্যায় বিচারে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিরদাবী জানাই।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝