ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২৫ , ৩০ কার্তিক ১৪৩২ আজকের পত্রিকা ই-পেপার আর্কাইভ কনভার্টার ফটোগ্যালারি
×
শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম: আমাদেরজাগরণ তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানকে কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের আমাদেরজাগরণ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না...প্রধান উপদেষ্টা আমাদেরজাগরণ দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল...সেনাপ্রধান আমাদেরজাগরণ রাষ্ট্রীয় আদেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ,নির্বাচনের দিনই অনুষ্ঠিত হবে গণভোট আমাদেরজাগরণ একই দিনে গণভোট, জাতীয় নির্বাচন জাতির সঙ্গে তামাশা...রেজাউল করীম আমাদেরজাগরণ ভাষানচর বালুমহলের উপর চাঁদপুর নৌ- প্রশাসনের হয়রানি বন্ধের আহবান আমাদেরজাগরণ জয়পুরহাটের নিভৃত পল্লীতে নির্মাণশৈলীর অনন্য নিদর্শন আমাদেরজাগরণ সুমিতা দেবীর আত্মকথন। স্বাধীন হওয়ার পর জহির রায়হান আমাদেরজাগরণ সিলেটে বাংলাদেশ - আয়ারল্যান্ড প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয় আমাদেরজাগরণ রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
শেল্টারদাতা ও মাসোহারা খুঁজে আইনে জবাবদিহি দাবি
সিদ্ধিরগঞ্জে সাজেদা হাসপাতাল ভবনের আবাসিক হোটেলে বিশেষ অভিযানে ৮ জন আটক
প্রকাশ : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ১১:৫৪:০০ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক নারায়ণগঞ্জ:
Amader Jagaran_2025-09-15-68c7aa47e6999.jpg

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগং রোড শিমড়াইল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতাল ভবনের ভেতরে পরিচালিত রিভারভিউ আবাসিক হোটেলে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: পূজা (২০), লিজা আক্তার (২২), নূরনাহার (২০), মোঃ শাহীন (৩০), মোঃ রাহাদ হোসেন (২৫), মোঃ শামীম (৪০), মোঃ নয়ন (২২) ও মো. রাজন মিয়া (২২)। অভিযানে একজন হোটেল কর্মচারীকেও আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে চিটাগং রোড শিমড়াইল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতাল ভবনকে আড়াল করে একটি চক্র হোটেলটিকে ব্যবহার করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে তাদেরকে আটক করে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ২৯০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নন-আইআর প্রসিকিউশন নং-১৪২ অনুযায়ী তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এলাকাবাসী, স্থানীয় সমাজকর্মী ও চাইল্ড-ওমেন্স গ্রুপগুলো একযোগে দাবি করেছেন—শুধু অপৎকারীদের ধরলেই চলবে না; যারা এই অপকর্মকে মাসোহারা ও আশ্রয় দিয়েছে, যারা হোটেলকে স্থায়ীভাবে বা আংশিকভাবে ‘শেল্টার’ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদেরও দ্রুত শনাক্ত করে রিম্যান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, ভয়ে বা প্রভাবশালীদের কারণে বহুদিন ধরে কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারেনি; তাই প্রশাসনের কাছে দাবি, পুরো সিন্ডিকেটের শিকল কেটে ফেলতে হবে। প্রশাসন ও তদন্তে অতীব জরুরি পদক্ষেপসমূহ (স্থানীয়দের নির্দেশনা ও দাবি): 1. আশ্রয়দাতা ও মাসোহারা শনাক্তকরণ: হোটেল মালিক/ম্যানেজার, কর্মচারী এবং ভবনের মালিক-ভাড়াদারদের সম্পূর্ণ তালিকা সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ। 2. মোবাইল-কল ট্র্যাকিং ও রেকর্ড যাচাই: আটককৃতদের মোবাইল কল-ডাটার মাধ্যমে মাসোহারা এবং পাইকারি সংযোগকারীদের নাম ও অবস্থান শনাক্ত করা। 3. সিসি ক্যামেরা ও আর্থিক লেনদেন তল্লাশি: হোটেলের সিসি রেকর্ড পরীক্ষা, ভাড়া-লেনদেনের খাতায় সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করা। 4. রিমান্ড ও কাঠামোগত জিজ্ঞাসাবাদ: কাউকে ‘শেল্টার’ দিয়েছে এমন প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে যথাযথ জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য উদঘাটন। 5. সম্পত্তি-নথি ও ভাড়া ডকুমেন্ট যাচাই: ভবন-ভাড়ার কাগজপত্র, বিল ও অর্থপ্রবাহ যাচাই করে দেখার নির্দেশ।

6. মূল সিন্ডিকেটের অনুসন্ধান: একক অপরাধী নয়—স্থানীয়, জেলায় কিংবা জোনাল স্তরে যারা মাদক/অপরাধী নেটওয়ার্ক চালায় তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান। 7. সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা: অভিযুক্তদের পুনর্বাসন/সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (যাদের প্রয়োজন) গ্রহণ করে আইনগত প্রক্রিয়া বজায় রাখা। সামাজিক দাবী ও অনুরোধ: জেলা পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ District Police, Narayanganj RAB 11, Narayanganj জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক সার্কেল, নারায়ণগঞ্জ Bangladesh Police সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, নারায়ণগঞ্জ Siddhirganj police station Narayanganj স্থানীয়রা ও সামাজিক সংগঠনগুলো প্রশাসন, র‍্যাব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনতিবিলম্ব অনুরোধ জানিয়েছেন।

এই একক অভিযানের উপর থেমে যাওয়া আটকে রাখবেন না; পুরো চেইন টপ-টু-বটম তদন্ত করুন যাতে ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ আর চালানো না যায়। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে শেল্টারদাতা ও মাসোহারা গ্রহণকারীদেরও আইনের আওতায় আনা অপরিহার্য। ওসি শাহীনূর আলম বলেন, “আমরা শুধু মূল অভিযুক্তদেরই গ্রেপ্তার করিনি; তদন্তের সময় প্রয়োজন অনুযায়ী শেল্টারদাতা ও সহযোগীদেরও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে—তবে সাবধানতার সঙ্গে প্রমাণভিত্তিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় নাগরিকদের সরাসরি আহ্বান—যাদের কাছে এই ঘটনার বিষয়ে যোগসূত্র বা প্রমাণ আছে (দৃশ্যমান ব্যক্তি, নথি, সিসি ফুটেজ, কল ডাটা ইত্যাদি), তারা অবিলম্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে বা নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি/র‍্যাব-১১কে তথ্য দিন, যাতে পুরো সিন্ডিকেটকে ভাঙা যায় এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপকর্ম রোধ করা যায়।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝